ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেস: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট ২০২০ সোমবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা গ্রামের প্রবাসী মামুন মিয়ার স্ত্রী নিপা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টায় ফিল্মী স্টাইলে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী জোরপূর্বক অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে আহত করে নগ্ন অবস্থায় ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভিকটিম নিপা বেগম বলেন, সেদিন সন্ধ্যায় আনুমানিক ৭টায় সরাইল বিশ্বরোড মোড় থেকে আমার শাশুড়ির জন্য ওষুধ কিনে সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে মাঝামাঝি অবস্থায় পূ্র্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খড়িয়ালা গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া, আবুল হাসনাতের ছেলে জুয়েল মিয়া ও তার ছোট ভাই সোহেল মিয়া, ওবায়েদুল হক অবিদের ছেলে ফরহাদ মিয়া ও মৃত সাজদু মিয়ার ছেলে মমিন মিয়া তারা আমাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে আমার শরীরে থাকা বস্ত্র খুলে আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টায় অপহরণকারীকে ধাওয়া করলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরো জানান, আসামীরা তারা সবাই আমার শ্বশুরবাড়ির গ্রামের বাসিন্দা। আমার স্বামী বিদেশ থাকায় আসামীগণ দীর্ঘদিন ধরে আমাকে যৌন হয়রানী করে আসছে। বিষয়টি আমার শ্বশুর শাশুরীকে জানালে তারা আসামীগণকে শান্তভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলে তারা উত্তেজনা হয়েই বিষয়টি অমিমাংসা করে চলে যায়।
আমার নিরাপত্তা রক্ষার্থে আশুগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে থানা থেকে তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফিরে যাবার পর আসামীগণ আমার শাশুড়িকে হত্যার উদ্দেশ্যে এক যোগে আক্রমণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় জখম করে। বর্তমানে আমার শাশুড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের ভয়ে আমরা দীর্ঘ এক মাস যাবৎ বাড়িতে থাকতে পারছি না। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত করে কোন ধর্ষণ চেষ্টার আলামত পাইনি। এটা তাদের পারিবারিক টাকা পয়সা লেনদেনের ঘটনা।
তিনি আরো জানান, গত ২৮ দিন থেকে বাড়িতে থাকতে না পারার বিষয়টি আমার জানা নেই।