ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেস:-মো. আজহার উদ্দিন।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় যুবদলের কর্মীসভায় পুলিশের লাঠিচার্জে কেন্দ্রীয় যুবদল সহসভাপতি এবং জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২০জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার(২৩ই অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় নবীনগর উপজেলা যুবদলের কর্মীসভায় পুলিশের লাঠিচার্জে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকিসহ জেলা যুবদলের সভাপতি শামিম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদসহ ২০জন আহত হয়েছে।

সভাকক্ষে পুলিশেরর বেধড়ক মারধরে সভা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা এ সময় পুলিশের একটি গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করেছে।

ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে চাঙ্গা করার লক্ষে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে কর্মিসভা সফল করতে গতকাল রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় ডাকবাংলোতে পুলিশী বাঁধায় সভা মা হওয়ায় পরে আজকে সভায় নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।

গতকাল পুলিশের বাঁধার পর উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা আজ দিনভর ঘরোয়া বৈঠক শেষে বিকেলে পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে সাবেক বিএনপি নেতা মরহুম মদন মিয়া মেম্বারের বাড়িতে গোপনে একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে অবশেষে সাংগঠনিক সভায় মিলিত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করলে, সভা পন্ড হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এসময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকি, আশিকুর রহমান ওয়াসিম, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আলো আশরাফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিমন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামিম মোল্লা, সহসভাপতি নাছির সরদার, রাসেদুল হক, বাবুল ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদসহ ২০জন আহত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

অপরদিকে যুবদলের কর্মীদের ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের গাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ ।

নবীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান মুকুলের সাধারণ সম্পাদক, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সাংগঠনিক সভা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের বাধায় করতে পারিনি। বিকেলে আমাদের এক নেতার বাসায় বসে প্রার্থীদের তালিক তৈরি করার সময় পুলিশ এসে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমাদের ঢাকা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ ও আমাদের জেলা-উপজেলার প্রায় ২০ নেতৃবৃন্দ আহত হন।

এদিকে রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা(কচি) বলেন, পুলিশ অর্তকিত ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করলে ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়।

নবীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, যুবদলের কর্মীসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আলিয়াবাদ গ্রামে কয়েকশো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ওই সভার আয়োজন করে। খবর পেয়ে পুলিশ সভাটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশের উপর হামলা করে নেতাকর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ির গ্লাস।

By khobor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *