ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেসঃ- শেখ মোহাম্মদ আলী।   সরজমিনে প্রতিবেদন ও তথ্যসংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেন বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের বিএনপির সেক্রেটারি কোম্পানির মালিক আক্তার হোসেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন ২নং বুধল ইউনিয়ন চান্দিয়ারা গ্রামে, বর্তমান সরকারের লকডাউন কে পরোয়া না করে চলছে অনিয়মে ভরপুর! বিভিন্ন খাদ্য জাত উৎপন্ন তৈরির কারখানা ফ্যাক্টরির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেয়ে, সরজমিনে দেখা গেল যে ১০/১৫ জন শ্রমিক এর মাধ্যমে ভিতরে কাজ করে চালাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট। এর মধ্যে রয়েছে চানাচুর, ডাল ভাজা, চিপস ও বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী।কোম্পানির ভিতরে ঢুকে দেখা গেল, মাক্স ছাড়াই শ্রমিকরা কাজ করছেন। শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদে শ্রমিকরা বললেন, আমাদের কোম্পানি প্রায় ১০/১২ প্রকারের খাদ্যজাত সামগ্রী তৈরী করা হয়। তারপর শ্রমিকদের থেকে মালিক সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিউত্তরে বলেন, সেটা গ্রামের ভিতরে আমরা প্রতিনিয়তই মালিকের অর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের মালিক হলেন ২নং বুধল ইউনিয়নের বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক। ওনার নাম আক্তার হোসেন। আক্তার সাহেব কোথায় জানতে চাওয়া হলে, তখন শ্রমিকরা বলেন কিছুক্ষণ আগেতু এখানেই ছিল এখন কোথায় গেল বলতে পারছিনা। পরিস্থিতি বোঝা যাচ্ছে যে ভাবে অনিয়ম করে ফ্যাক্টরি চলছে, হয়তো সাংবাদিকদের টের পেয়ে ওনি চলে যান।

শ্রমিকদের কাছে উনার মোবাইল নাম্বার চাইলে শ্রমিকরা ওনার নাম্বার দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, উপস্থিতি থাকা একজন, লোকালয়ে এই কোম্পানির মালিক আক্তার মিয়ার মোবাইল নাম্বার দেন। তারপর আক্তার মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে সে উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনারা যে বিকাল সাড়ে চারটা বাজে আমার কোম্পানিতে ঢুকেছেন কার অনুমতি নিয়েছেন? তার প্রতিউত্তরে আক্তার মিয়াকে বলা হয় আপনার ম্যানেজার এখানে উপস্থিত ছিলেন। তারপর উনি বলেন যে আপনারা শুধু লকডাউন বলেন, সরকার কি আমাকে খাওয়াই দিবে? আমি যে শ্রমিকদেরকে বেতন দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি, আপনার সরকার আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কথা।
সে আরো উত্তেজিত হয়ে বলে আপনারা যে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসেছেন, আমি মনে করি সাধারণ শ্রমিকদের পেটে লাথি দেওয়ার জন্য এখানে এসেছেন। একপর্যায়ে উনি রাগান্বিত হয়ে বলে আমি মনে করি আপনারা সাংবাদিক না, চাঁদাবাজ বলে কটাক্ষ ভাষাও ব্যবহার করেন। উনার সাথে মুঠোফোনে কথা শেষ হওয়ার পর মালিকের উত্তেজনা আলাপ শুনে, উনার কোম্পানির শ্রমিক ও উনার ছেলে এবং উনার ভাই সহ উত্তেজিত হয়ে, ক্যামেরা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাত থেকে কেড়ে নেন। বিএনপির সেক্রেটারি আক্তার মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার পর তার বাড়ির লোকজন ও কোম্পানির শ্রমিকরা মুঠোফোনের মাধ্যমে উনার উত্তেজিত আলাপনে উনার হুকুমেই উপস্থিত সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেন!
সেখানে লোকজন জামায়াত হওয়ার পর কিছু সংখ্যক মুরুব্বীদের সহযোগিতায় আমরা ঐ স্থান ত্যাগ করি।সাংবাদিকদের কে যে অপমান অপদস্ত ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কটাক্ষ ব্যবহার করেছে সে ব্যাপারে আবারো তাকে অবগত করার জন্য মুঠোফোনে কথা বলতে গেলে, সে আরো উত্তেজিত হয়ে বলে তোরা কিসের সাংবাদিক? আমি দেখে নিব বলে হুমকি প্রদান করে। সে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তুরা যদি বারাবাড়ি কিংবা কোন ধরনের নিউজ করছ, তোদেরকে চাঁদাবাজির মামলায় জড়িয়ে দেব।
সেই বিএনপি’র সেক্রেটারী আক্তার মিয়া চান্দিয়ারা গ্রামের ভিতরে এক নিরব স্থানে সেই বিশাল কোম্পানি গড়ে তুলেছে। সেখানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট স্তর করে ভেজাল তৈল দিয়ে, যা সম্পন্ন খাবারের প্রোডাক্টগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ। আর সেই ভেজাল করার উদ্দেশ্যে নিয়ে এসে প্রশাসন ও সরকারকে ফাঁকি দিয়ে সেই কোম্পানিতে রাত দিন বাচ্চাদের খাবারের বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরী করে যাচ্ছে। যা খেলে বাচ্চাদের জীবনে মরন ফাঁদ ঝুঁকি নেমে আসবে।
উক্তস্থান থেকে ফিরে এসে রাত ৭টা ৫০মিনিটের সময় উক্ত ঘটনার বিস্তারিত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক রিপন ও ডিজিএফআইয়ের দায়িত্ব থাকা নাজমুল সাহেবকে অবগত করানো হয়।

#বিঃদ্রঃ- ভিডিওটি দেখুন ও বেশি বেশি শেয়ার করে জাতিকে সতর্ক করুন ও তাদেরকে আইনের নজরে আনুন।

By khobor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *