ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেস:- ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রামে এক প্রসূতির দুইটি যমজ শিশুর কথা উল্লেখ থাকলেও সিজারের পর তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি নবজাতক শিশু।আর সেই থেকেই বিপত্তি শুরু। কারণ প্রসূতি পরিবার তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি অপর শিশুটি কোথায়? হাসপাতাল কতৃর্পক্ষও জানিয়েছিল দু’টি শিশু হবে। সেই মোতাবেক তারা অপারেশন করিয়েছিলো।তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে বিষয়টি আলট্রাসনোগ্রাম রির্পোটে ভুল করেছে চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। তবে ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকও ভুল স্বীকার করে এখন ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাহবুবুর রহমানে স্ত্রী শিউলী বেগম রবিবার বিকালে শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এই সময় পরীক্ষা পত্র যাচাই বাছাই করে তাকে জানানো হয় তার গর্ভে দু’টি যমজ শিশু রয়েছে। তার সিজার করেন সেবা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. সাইমা রহমান ইমা।সিজারের পর তাকে জানানো হয় তার একটি নবজাতক শিশু জন্ম নিয়েছে। এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে রোগীর স্বজনরা তর্কে জড়িয়ে পরে। এই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।প্রসূতি শিউলী বেগমের মা সালমা বেগম জানান তার মেয়ে শিউলী গর্ভবতী হওয়ার পর সেবা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. সাইমা রহমান ইমাকে নিয়মিত দেখাতেন। সর্বশেষ তার পরার্মশক্রমে স্থানীয় সেফ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের কাছে একটি আলট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। আলট্রাসনোগ্রামে রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের জানানো হয় দুইটি যমজ শিশু হবে। সিজারের পর একটি নবজাতক শিশু দেওয়া হয়েছে। তবে অপর শিশুটি কোথায়? খোজঁ নিতে চাইলে, তারা খারাপ আচরণ করে। এই সময় অপর শিশুটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তারা।সেবা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. সাইমা রহমান ইমা জানান আলট্রাসনোগ্রামে রির্পোটটিতে ভুল করা হয়েছে। তিনি সিজারের এসময় একটি শিশু পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে অভিযুক্ত সেফ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান সারাদিন একাধিক রির্পোট দেখতে হয়। তার মধ্যে এই রির্পোটটি ছিল। এই সময় দেখায় ভুল হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তা স্বীকার করেন। এই সময় তিনি সমঝোতা করার অনুরোধ করেন।