ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেসঃ বার্তা আল মামুন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মৃত জাকির হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তার ।ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধু বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। দফায় দফায় যৌতুক দিয়েও স্বামীর সংসার করতে হিমশিম খাচ্ছে শারমিন আক্তার। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সিনিঃ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন নিযার্তিতা গৃহবধু। ২০০৯ সালের ৯মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার (বর্তমানে ব্রাহ্মনবাড়িয়া পৌর এলাকার খৈয়াসার গ্রামে) কেফায়েত উল্লাহ ছেলে মোঃ কামরুল ইসলামের সাথে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার।
জানা যায়, প্রেম করে বিয়ে করা শারমিন বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবিসহ বিভিন্ন অযুহাতে স্বামী তাকে নানান নিযার্তনের শিকার হয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে একটি কন্যা সন্তান ও ২টি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তার গর্ভে। ফুটফুটে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শত নিযার্তন সয়েও স্বামীর সংসার করে যাচ্ছিলেন শারমিন আক্তার। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস! বিয়ের পরই প্রেম রুপ নেয় বিষাদে। বার বার যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ ও পরকিয়ায় প্রেমে আসক্ত মো কামরুল ইসলাম তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের উপর নিযার্তনের মাত্রা বাড়াতে থাকে।
এমতাবস্থায় গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে হঠাৎ প্রাইভেটকার কেনার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। শারমিন এ টাকা দিতে অস্বিকার করলে তাকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় শারমীনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় গত ১৭ নভেম্বর শারমিন আক্তার নিজে বাদী হয়ে তার স্বামী কামরুল ইসলাম(৩২) আসামী করে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সিনিঃ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ধারা আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শারমিন আক্তারের বিয়ের সময় তার স্বামী কামরুল ইসলামকে নগদ তিন লক্ষ টাকা ও ১০ ভরি স্বণার্লংকার প্রদান করা হয়। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে তার উপর শুরু হয় স্বামীর অমানসিক নির্যাতন। সন্তানদের সুখ-শান্তির কথা চিন্তা করে শারমীন দফায় দফায় টাকা দেন। সরকারি চাকরির কথা বলে ২০লক্ষ টাকাও দেন শারমিনের পরিবার। এভাবে অতিবাহিত হয় প্রায় ১০বছর। এরই মধ্যে শারমিন এক কন্যা ও দুটি ছেলে সন্তানে জননী হয়। তবে তার উপর নিযার্তনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
সর্বশেষে আসামীর পিতা কেফায়েত উল্লাহ, মা রহিমা বেগম ও বড় ভাই কাউছার মিয়ার কুপ্ররোচনায় প্রাইভেটকার কেনার জন্য শারমিনের কাছে নগত ১৫লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন কিন্তু শারমিন টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয় কামরুল ও তার পরিবার। গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে হঠাৎ যৌতুকের দাবিতে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সিনিঃ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি রুজু হবার পর আসামী কামরুল ইসলাম আপোষ করবে মর্মে জামিন আনেন। তবে এখনও শর্তের কোন প্রকার তোয়াক্কা করছেন না কামরুল ইসলাম।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে, ওনি দাবি করেন আপোষ হয়ে গেছে। মনমালিন্য ও ভুল বুঝাবুঝির কারনে এমন হয়েছে।
Informative article, exactly what I was looking for.