ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেসঃ- নিজস্ব প্রতিবেদক। যতদিন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন থাকবে ততদিন পর্যন্ত চলবে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ, সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক।
বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে একাকার হয়ে গেছে বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ গত ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশ হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে দেশের সকল মানুষ ঘরবন্দী রয়েছে। অসুবিধায় পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো যারা দিনাতিপাতে চলে। কাজ করলে খাবার জোটে আর কাজ না করলে খাবার জোটে না। এমন ভাবনা থেকে সমাজে বিত্তবানরা অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু সমাজের উঁচু শ্রেণির সকল মানুষই যার যার নিজ এলাকায় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পুরো ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক দানবীর আলহাজ্ব লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও। তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁরই বড় ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর বাবার পক্ষে উপজেলার সকল অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবেন। এ বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যানপর ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক জানান, করোনার প্রভাবে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আমাদের দেশে খেটে খাওয়া গরীব মানুষের সংখ্যা বেশি।এই মুহুর্তে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আমার বাবা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন মানুষের পাশে থাকার জন্য। তিনি বার্ধক্য হওয়ায় আমরা তাঁকে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছি না। আমার বাবা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আমার বাবার পক্ষে আজ থেকে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকাল হতে সদর উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে বাবার নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় মানুষদেরকে প্রথম পর্বে ১০টন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি। যেসকল মানুষ যেমন হত দরিদ্র, দিনমজুর, খাদ্য সংকটে পড়েছেন তাঁদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ।
তিনি জানান, যতদিন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এছাড়াও শেখ ওমর ফারুক তার নির্বাচিত সুলতানপুর ইউনিয়নে তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার ৫ শতাধিক পরিবারে সহায়তা দিয়েছেন। এমন একটি মহৎ সিদ্ধান্তে শহরের সকল শ্রেণির মানুষদের মুখে মুখে মানবতার কথা উঠে এসেছে। জনগেণর জন্য এমন দৃষ্টামূলক কাজ এর আগে আর কেউ উদ্যোগ নেয়নি বলেও শহরে চলছে মুখে মুখে গুঞ্জন।