ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেস:- মো. আজহার উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

সারা বাংলাদেশের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসএসসি ০৭ এবং এইচএসসি ০৯ ব্যাচ ফেসবুক গ্রুপের উদ্যোগে পথশিশু মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার(১২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ টার দিকে মসজিদ রোডস্থ এ মালেক কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রুপের সদস্যরা জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান শুরু করেন।

শারমিন সুলতানার পরিচালনায় বন্ধুদের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাহাউদ্দিন বাহার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রবিউল হোসেন রুবেল ও শাহাদাৎ হোসেন শোভন।

শুরুর মধ্যদিকে অসহায় ও হতদরিদ্র পথ-তারা ৫০জন শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে যারা যথাক্রমে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করেছিলেন তাদের নিয়ে গঠনমূলক কিছু করার উদ্দ্যেশেই গ্রুপের যাত্রা শুরু করেছিল। শুরুতে সদস্য সংখ্যা কম থাকলেও এখন গ্রুপের সদস্য এখন ৫হাজার এরও বেশী। 

সকলের অংশগ্রহণেই এই গ্রুপ এখন অনেক প্রাণবন্ত। সবাই দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সবাই প্রতিষ্ঠিত। গ্রুপের ৯০% সদস্যই ব্যক্তিগতভাবে কেউ কাউকে না চিনলেও দীর্ঘদিন ধরে সবাই সক্রিয় এবং সবার মধ্যে আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩০ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৫০ জন সাবেক শিক্ষার্থী এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাইরে থেকেও অনেকে এসেছেন শুধু এই মিলন মেলায় অংশ নিতে, সবার সাথে দেখা করার জন্য। সবার এতটা সাড়া পাওয়া যাবে তা আসলে কেউ ভাবতেই পারেননি। ভালো কিছু করার প্রত্যয়ে এটি একটি অনেক বড় ইতিবাচক দিক বলে সবাই মনে করছেন। এই গ্রুপ হাসি-আনন্দের পাশাপাশি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সবার জন্য কাজ করবে যেখানে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা এবং গঠনমূলক ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি মাইলফলক স্থাপন করবে বলে গ্রুপের উদ্যোক্তাসহ গ্রুপের এডমিনরা স্বপ্ন দেখছেন। বর্তমানে তারিকুল ইসলাম বাকি, বিবেক বনিক, মিটু, সম্রাজ, মামুন আল-নিরব, সাইফুল ইসলাম, মুবিন, মুজিব, মাসুদ, তানিয়া ও প্রিমাসহ ২০ জন এডমিন রয়েছেন যারা গ্রুপের বিভিন দিক নিয়ে সকলের স্বার্বিক সহযোগিতায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

আগামীতে আরো বড় পরিসরে মিলন মেলার পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলেও গ্রুপ এডমিনরা জানান। সকলের অংশগ্রহণে গ্রুপের কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়ে উঠবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

শুক্রবার সকাল ৯ টা- সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জাতীয় সংগীত, নাচ-গান, খানাপিনা, গল্প-কবিতা ও ছন্দ-ছড়া দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

By khobor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *