ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেস:- রুহুল আমিন।ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লে.জেনারেল মো. শামসুল হক পিএসসি’র মা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুহুল আমীন সজলের নানী মিসেস রাবেয়া খাতুন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ সিএমএইচে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর চার ছেলে ও তিন মেয়ে।
গতকাল যোহর নামাজের পর ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তাঁর প্রথম জানাযা ও পরে তাঁর জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে ২য় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানাজায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, এলাকার সাধারণ গণ্যমান্য রাজনৈতীক ব্যক্তিবর্গ ও তার শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত সেনা প্রধান লে.জেনারেল শামসুল হক বলেন, আমরা ৪ ভাই ও ৩ বোনের মাঝে আমি সবার ছোট। ছোট হিসেবে মায়ের আঁচলে মুখ গুজে থাকার সুযোগ আমিই বেশী পেয়েছি। আমার মা কখনো পারিবারিক রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। যার ফলে আমাদের পারিবারিক বন্ধন আজো সুদৃঢ়। দুষ্টামির ছলে আমার মেয়ে বা ছেলে যদি কখনো প্রশ্ন করতো, দাদু আপনার কোন ছেলে বা মেয়ে এমনকি কোন নাতি নাতনি বা কোন ছেলের বউ কোন মেয়ের জামাই আপনাকে বেশী আদর করে? তার সরল উত্তর ছিল আমারে সবাই আদর করে। সবার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল একই রকম। শুধু পরিবার নয়, পাড়া প্রতিবেশী সবার প্রতি তার দরদ ছিল প্রশংসিত। তার কাছে কে আপন কে পর এ নিয়ে কোনো ভেদাভেদ ছিলনা। তাই, সবাই আমার মাকে ভালবাসতেন। আমার মা সবার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা পেয়েই দীর্ঘজীবন আমাদের সবার মাঝে ছিলেন। তিনি যে কোনো বিষয়ে সব সময়ই নিরপেক্ষ রাখতেন নিজেকে। আমি ধন্য এমন ধৈর্যশীল পরোপকারী মায়ের গর্ভে আমার জন্ম হওয়াতে। আমি আমার মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।