ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেস রিপোর্ট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইলের মোহাম্মদপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরধরে (ফকির বাড়ি) এলাকার লিয়াকত আলীর স্ত্রী শামসুন নাহার (৩০) নামের এক অন্তঃসত্তা মহিলার উপর হামলা চালিয়ে  তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দিয়েছেন দুবৃর্ত্তরা।অপরদিকে বোনকে শশুড়বাড়ির লোকজনের হামলার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে দাঙ্গাবাঁজদের হাতে আটক হয়ে  মারধরের শিকার হয়েছেন ভিকঠিমের ভাই । এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকার উম্মেদ মিয়ার ছেলে ওয়াছকরনী (৩৫), মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে আওলাদ হোসেন(৩৮),আবুল হাইয়ের ছেলে সেলিম মিয়া(২৮),মস্তু মিয়ার ছেলে আবুল হাই(৪৮) সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত নামা আরো ৮/ থেকে ১০জনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ভিকঠিমের বড় ভাই কাজী শাহানুর বাদী হয়ে গত ১২/৩/২০১৮ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত ১১/৩/ ২০১৮ইং তারিখ রোজ রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রামরাইল ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামে ফকির বাড়ির মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে লিয়াকত আলীর সাথে তারই আপন ভাই আউলাদ হোসেন ও ওয়াছকরনী  গংদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহ চলে আসচ্ছে। এরই জেরধরে ঘটনার সময় লিয়াকত আলী  ও তার স্ত্রীকে মারধর করে তাদের ঘরের ভিতর আটকে রাখেন হামলাকারীরা। ভিকঠিমের বড় ভাই মামলার বাদী কাজী শাহানুর জানান, আমার বোন জামাই ও বোনকে আসামীরা এলোপাতারি মারধর করে ঘটনাস্থলে তাদের ঘরের ভিতর আটকে রাখেন। খবর পেয়ে আমার বোনকে উদ্বার করতে আমিসহ মামলার সাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে গেলে আসামীরা আমাকেও মারধর করে ঘরের ভিতর আটকিয়ে রাখেন।পরে আমি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করিলে থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমিসহ ভিকঠিমদের উদ্বার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। মামলার বাদী কাজী শাহানুর আরো জানান, মজিবুর রহমান মজিব নামের স্থানীয় এলাকার ইউপি সদস্য এই ঘটনায় মদদ দিয়েছেন।

এদিকে হামলায় আহত ৪ মাসের অন্তঃসত্তা শামসুন নাহারের চিকিৎসক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ডাঃ মোহাম্মদ আল আমিন জানান, রোগীর পেটে প্রচন্ড বেগে আঘাত পাওয়ায় ব্লাডিং হয়ে তার গর্ভের থাকা ৪ মাসের সন্তানটি নষ্ট হয়েগেছে।

ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী ও আহতরা একই রক্তের লোকজন । স্থানীয় ওয়ার্ড ও এর পার্শ্বের ওয়ার্ডের মেম্বার মজিবুর রহমান মজিবের উস্কানী ও মদদে কয়েকদিন পর পরই তাদের ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘর্ষ বাধেঁ। এই ঘটনায়ও মদদ দিয়েছেন ইউপি সদস্য মজিব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ জানান, এই ঘটনায় ভিকঠিমের ভাই বাদী হয়ে হামলা দিয়েছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।

রামরাইল ইউপির সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব জানান, আমি উভয় পক্ষকে মিমাংশা করা লক্ষ্যে আসামীর পক্ষ হয়ে থানায় গিয়েছি, তবে এই ঘটনায় আমি কোন উস্কানী দেইনী।   

 

By khobor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *