ব্রাহ্মণবাড়িয়া.প্রেস: ইয়াছিন মাহমুদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা যুবলীগের আসন্ন সম্মেলন’কে সামনে রেখে সভাপতি পদে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাবেক ছাত্র নেতা পায়েল হোসেন মৃধা। তিনি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের একজন সফল সদস্য হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।
পায়েল হোসেন মৃধা সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মো. আরি মিয়া মৃধা’র ছেলে। সরাইল উপজেলা যুবলীগে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রয়াসে তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হোসেন মৃধা।
সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পায়েল হোসেন মৃধা বলেন, সবার ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন- আমি সচ্ছ রাজনীতি করি, বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে বুকে লালন ও ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো ইতিবাচক শক্তিশালী করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এখানে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছি।
সেই ইতিবাচক কাজকে আরো গতিশীল করতেই আমি সরাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস; আগামি সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনে আমার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ত্যাগের মূল্যায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতৃবৃন্দ সঠিক বিবেচনা করবেন।
আমার চাচা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে গেছেন। রাজনৈতিক জীবনে আমি আমার চাচাকে অনুসরণ করেছি, তাঁর নীতি আদর্শ আমাকে অনেক ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
পায়েল হোসেন মৃধা আরো বলেন, স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আর্দশ বুকে ধারণ করে ২০০৪ সালে এসএসসি পাস করি এবং সরাইল সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হয়। তখনকার বিএনপি চার দলীয় ঐক্যজোট সরকার আমলে আহসানউল্লাহ মাস্টার ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো সহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ওপর শোষণ, হত্যা ও গুমের প্রতিবাদে কলেজ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ মিছিল করি।
সরাইল কলেজ থেকে ২০০৬ সালে এইচএসসি, ২০১০ সালে স্নাতক ও ২০১২ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করি। ফকরুদ্দিন ও মঈন উদ্দিন-এর শাসন আমলে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি চেয়ে রাজপথে মিছিল করি। কলেজ ছাত্রলীগের পাশাপাশি সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগে সক্রিয় অংশগ্রহণে দীর্ঘ আট বছর রাজনীতির পর ২০১২ সালে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করি। পরে ২০১৬ সাল থেকে সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। ২০১৬ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হই। বৈষিক মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারি খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রীসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করি। সরকারি অর্থায়নে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছি। আমি আওয়ামী ঘরানার ছেলে। আমার চাচাতো ভাই এহসান উল্লাহ মাসুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি।আরেক চাচাতো ভাই ইখতিয়ার হোসেন মৃধা রিপন সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। আমার মামাতো ভাই কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি। আরেক চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ হোসেন ১৯৭৪ সালে সেভেন্ট মার্ডারে তিনি নিহত হন।
২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরাইল উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আমার উপস্থিতি নিশ্চিত রেখে আসছি। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভালোবাসার কারণেই আজকের এই অবস্থানে, এমন দাবি পায়েল হোসেন মৃধা’র। তিনি সরাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী এবং দলীয় সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের কাছে সমর্থন প্রত্যাশী।